কোন কিছু করার জন্য পারফেক্ট টাইম, পারফেক্ট সুবিধা, পারফেক্ট ফ্যামিলি কন্ডিশন কোনদিনও কেউ পায় নাই, আপনিও পাবেন না। আর স্বপ্নের জন্য সাধনা না করে, হাত পা ঘুটিয়ে যত বেশি চিন্তা করবেন, স্বপ্নটা তত বেশি কঠিন মনে হবে।
সপ্তাহে একদিন, মাসে অন্ততঃ দুইদিন কি নিজের জন্য রাখা যায় না? স্রেফ নিজের জন্য। সেদিন টিভি দেখলা না, ফেইসবুকিং করলা না, বাইরে ঘুরাঘুরি-আড্ডা দিলা না। দিনের প্রায় সবটুকু সময় নিজের জন্য রাখবা।
এই দুনিয়াতেও আপনি অল্প সময়ের জন্য আসছেন। আপনার হাতেও খুব বেশি সময় নাই । বাসের ড্রাইভার সময় নষ্ট করলে আপনার গায় লাগে। অথচ নিজের জীবনের ড্রাইভিং সীটে বসে নিজেই নিজের সময় নষ্ট করতেছেন। দিনের পর দিন মাসের পর মাস আপনার লক্ষ্যের জন্য কাজ না করে, চেষ্টা না করে, আলতু ফালতু কাজে বসে বসে টাইম পার করতেছেন। একটুও খারাপ লাগে না।
আমাদের জীবনগুলো কোক-পেপসির বোতলের মত। ফ্রিজ থেকে বের করার অল্প সময়ের মধ্যে খেয়ে ফেলতে হয়। নচেৎ নরমাল হয়ে গেলে আর মজা থাকে না। আবার বেশিক্ষণ বোতলের মুখ খুলে রেখে দিলে ঝাঁঝ কমে যায়। পানসে হয়ে যায়। তাই জীবনের কোকের ঝাঁঝ শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই, যা এচিভ করতে চান, তা সিরিয়াসলি শুরু করে দিতে হবে। যত বেশি অপেক্ষা করবেন তত বেশি ঝাঁঝ কমে যাবে, তত বেশি সুযোগ কমে যাবে, তত বেশি রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে।
দম ফেলার টাইম নাই। এমন একটা ভাব যে, আজরাইল এসে দরজায় নক করলেও বলি, টাইম নাই, পরের সপ্তাহে আইসেন। এইভাবেই দিন গিয়ে রাত আসে, মাস গিয়ে বছর পুরে। স্বপ্নগুলো যায় হারিয়ে, জীবনের চলার বাঁকে। কোনো একটা কাজ করার সখ যদি অনেক স্ট্রং হয়। আপনি যদি ডিটারমাইন্ড হোন তাইলে টাইম বের করার একটা সিম্পল সিস্টেম আছে। এইটাকে আমি বলি, "টপ টেন পিক ওয়ান"। খুবই সিম্পল চারটা স্টেপ।
স্বপ্ন বা লক্ষ্যের কথা ছয় মাসে একবার ঢেকুর তুলে, সারাদিন খেলা-ফেইসবুক-রাজনীতি নিয়ে আড্ডায় মেতে থাকলে, স্বপ্ন আপনার না হয়ে, অন্য কারো হয়ে যাবে। দুই একটা সুযোগ দরজা-জানালার ফাঁক দিয়ে এসে ক্ষণিকের জন্য চুল্কানি দিলেও, আপনি টের পাবেন না।
দিনের মধ্যে মোটামুটি আঠার ঘন্টা সময় পাই আমরা। দাঁত ব্রাশ, বাথরুম, খাওয়া-দাওয়া, জিরো ফেইসবুক, ফোন, আড্ডা, রিক্সা/বাস, ক্লাস/অফিস, সব মিলিয়ে মোটামুটি বিশটা ছোটখাটো কাজ করে ফেলি প্রতিদিন। কিন্তু এর মধ্যে যে কাজগুলা করা উচিত না, সেগুলাই বেশি বেশি করে ফেলি। আর যে কাজটা করা উচিত বলে মনে হয়, সেটা করার টাইম কখনোই খুঁজে পাই না। আসলে, আমাদের সমস্যাটা কোথায়?
আপনার লাইফের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলে টেম্পুর যাত্রী নামায় ফেলার মতো করে, আপনার মাথা থেকে সব সমস্যা নামায় ফেলতে হবে। প্রথমেই মাথা হালকা করতে হবে। তারপর আপনার ডেইলি রুটিনকে কয়েকটা ঝাঁকি দিতে হবে। টেম্পু ঝাঁকি দেয়ার মতো করে।
গতকাল রাত্রে যত ভালো বা যত খারাপ খাওয়া দাওয়া করেন না কেনো, আজকের পর সেগুলা আর শরীরে ধরে রাখতে পারবেন না। সব সুড়সুড়ি দিয়ে বেরিয়ে যাবে। পেটের খাবার বের করার সাথে সাথে মাথা থেকে কালকের হতাশা, কালকের ব্যর্থতা, কালকের খারাপ লাগাগুলাকেও বের করে দিতে হবে।
Target is the need to achieve success
Care, Curisity, Courage and Control for student life
প্রেম রিলেটেড প্রশ্ন, হতাশা কিংবা কনফিউশন রিলেটেড প্রশ্নের উত্তর
শুধুমাত্র কম্পিউটার অন-অফ করতে পারেন এমন মানুষও ওয়েবসাইট বানাতে পারবে।
নাকানি চুবানি খাইতে খাইতেও মানুষ হইতে পারলাম না। ড্রিম জব ল্যান্ড করাতো দুরের কথা।
যদি লোকসম্মুখে প্রশ্ন জিগ্গেস করতে বা উপদেশ, বকাঝকা, গালাগালি, হুমকি দিতে সংকোচ লাগে তাইলে ইমেইল করে দেন [email protected]